একটা জরিপ করুন ছাত্রলীগের কর্মীদের উপর—
ছাত্রলীগের একজন কর্মীকে জিজ্ঞাসা করুন, আপনি কার রাজনীতি করেন?
উত্তর পাবেন ওমুক ভাইয়ের!
জিজ্ঞাসা করুন আপনার আর্দশ কি?
তমুক ভাই আমার আর্দশ!
কতবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার নাম উচ্চারণ করেছেন, কতবার এই সরকারের উন্নয়ন বা নেত্রীর অর্জন এর কথা প্রচার করেছেন?
দেখবেন, তারা হাজারবার প্রচার করেছে আমার আস্থা ভাই, ভাইয়ের সাথে।
নেতা হবার পর এরাই আবার নিজের প্রচারণায় নেমে পরে, আর কর্মীরা প্রচার করেতে শুরু করে অমুক ভাই এই করছে, তমুক ভাই এই করছে কিন্তু এইটা বলে না সংগঠন এইটা করছে।
সাম্প্রতিক সময়ের কোটা সংস্কারের বিধ্বংসী রুপ যে উদ্বেগের জন্ম দেয়-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুমানিক ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ৩৭ ,০০০। ছেলেদের ১৬ আর মেয়েদের ৫ টি সহ ২১টি হল।
ছাত্রলীগের যে কোন প্রোগ্রামে ছেলেদের এক একটা হল থেকে এক ৫০০-৭০০ এবং ক্ষেত্রবিশেষে সেই সংখ্যা ১২০০-১৫০০ হয়।
মেয়েদের হল থেকেও যায় ২০০/২৫০। ক্ষেত্রবিশেষে সে সংখ্যা ৫০০ এর বেশিও হয় ।
তাহলে কোটা সংস্কার আন্দোলন কিভাবে এমন বিধ্বংসী রুপ নিল? শেখ হাসিনার চাওয়া সময়কে উপেক্ষা করে! সাদা চোখে আমরা যা দেখছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ছাড়া অন্য কেন সংগঠনের অস্তিত্ব নেই।
আমার অল্প জ্ঞান যা বলে কোন ছাত্রসংগঠনের সম্পৃক্ততা ছাড়া কোন আন্দোলন এতটা সংঘবদ্ধ হতে পারে না। এর পিছনে হয় ইন্ধন দিয়েছে ছাত্রলীগ নামধারী/ছাত্রদল/ছাত্রশিবির।
কতটা অনুপ্রবেশ হয়েছে তা এই আন্দোলনে ধ্বংসযজ্ঞ দেখলে বোঝা যায়।
অনুপ্রবেশ বলছি এই কারনে যার আদর্শ বঙ্গবন্ধু যার আস্থা বিশ্বাস এর জায়গা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তিনি বা তারা কখনও তাঁর সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করতে পারে না।
তাই আমরা চাই ছাত্রলীগ শুধু চিনবে শেখ হাসিনাকে।
আমি এমনও অনেক কে বলতে শুনেছি—শেখ হাসিনাকে আমি চিনি না আমি চিনি আমার ভাইকে। আমি আমার ভাইয়ের রাজনীতি করি শেখ হাসিনার না।
জোর গলায় আমিও বলেছি আমি কোন ভাইকে চিনি না আমি চিনি শেখ হাসিনাকে।
সামনে জাতীয় নির্বাচন। আমরা চাই ছাত্রলীগ হবে শুধু শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ।নির্বাচনে ছাত্রলীগ শেখ হাসিনার সহায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করবে এবং বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে আসবে।এ ভাইয়ের না সে ভাইয়ের নয় শেখ হাসিনার আদেশ, নির্দেশ বাস্তবায়নই হবে ছাত্রলীগের মূল দায়িত্ব। ছাত্রলীগের সাথে আপার থাকবে ডাইরেক্ট কানেকশন।
আর এই ‘আমরা চাই’ বলতে বুঝিয়েছি আমরা যারা বুঝি শুধু ‘শেখ হাসিনা’। আমরা যারা বিশ্বাস করি ‘শেখ হাসিনা’ নিরাপদ মানে বাংলাদেশ নিরাপদ।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
জয়তু দেশরত্ন শেখ হাসিনা
লেখক: শারমিন সুলতানা লিলি
সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ