আজ সোমবার। ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ। ১০ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ৯ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় রাত ৯:৪৩

আপনি কি অনেক রাতে ঘুমোতে যান এবং দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন? তাহলে, মৃত্যু আপনার দরজায় কড়া নাড়ছে।

আপনি কি অনেক রাতে ঘুমোতে যান এবং দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন? তাহলে, মৃত্যু আপনার দরজায় কড়া নাড়ছে।
নিউজ টি শেয়ার করুন..

আপনি কি অনেক রাতে ঘুমোতে যান এবং দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন? তাহলে জেনে রাখুন, মৃত্যু খুব শীঘ্রই আপনার দরজায় কড়া নাড়ছে, একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে তাড়াতাড়ি ওঠা ব্যক্তিদের চেয়ে রাতজাগা মানুষের অকাল মৃত্যুর আশঙ্কা ১০ শতাংশ বেশি। গবেষণায় দেখা যায়, দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার কারণে বিভিন্ন মানসিক ও শারীরিক জটিলতার শিকার হতে হয়।

বিজ্ঞানীরা এ সংক্রান্ত গবেষণার জন্য চার ধরনের মানুষকে বেছে নিয়েছেন। যারা প্রতিদিন নিয়মিত সকালে ওঠেন, যারা মাঝে মাঝে সকালে ওঠেন, যারা মাঝে মাঝে দেরি করে ঘুমান এবং যারা প্রতিরাতে নিয়মিত রাত জাগেন। এই চারটি ক্যাটাগরিতে থাকা অংশগ্রহণকারীদের বয়স ৩৮ থেকে ৭৩ বছরের মধ্যে। সেখানে দেখা যায়, যে ব্যক্তি নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে ওঠেন তার গড় আয়ু রাতজাগা ব্যক্তিদের থেকে সাড়ে ছয় বছর বেশি।

তবে এর সঙ্গে ব্যক্তির বয়স , লিঙ্গ, গোত্র, ওজন, আর্থসামাজিক অবস্থা, খাদ্যাভ্যাস, লাইফস্টাইল ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় জড়িত। দেখা যায়, সকাল বেলায় যারা ঘুম থেকে ওঠেন, তাদের অকাল মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম। আর যাদের বায়োলজিকাল ক্লক অনিয়মে চলে তাদের এই ঝুঁকি বাড়তেই থাকে।

যারা নিয়মিত রাত জাগেন তাদের ৯০ শতাংশ বিভিন্ন মানসিক ব্যাধির শিকার হন। ৩০ শতাংশের থাকে ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। এ ছাড়া স্নায়বিক সমস্যা থেকে শুরু করে অন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়।

অবেলায় খাওয়া দাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, ব্যয়াম না করা, রাতে ঘুম থেকে ওঠা বা মাদক সেবন, দীর্ঘদিনের মানসিক চাপ ইত্যাদির কারণে ঘুমের সমস্যা তৈরি হয়।

সঠিক ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু টিপস:

১.আপনার শোবার জায়গাটা এমন হতে হবে যেখানে বাইরে থেকে কোনও আলো যেন ঘুমানোর সময় প্রবেশ করতে না পারে।

২. প্রতিরাতে একটি নির্দিষ্ট সময় বিছানায় যাওয়া এবং সেটি যেন খুব দেরিতে না হয়।

৩. ঘুমের সময়ের সঙ্গে কোনো অবস্থাতেই আপস করা যাবে না।

৪. দিনের কাজ দিনের মধ্যেই শেষ করে ফেলার চেষ্টা করা।

৫. ঘুমানোর সময় মোবাইল ও ল্যাপটপ থেকে বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার থেকে দূরে থাকা।

এই নিয়ম গুলি মেনে চললেই আপনি রাত জাগার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন এবং সুস্থ লাইফ স্টাইল গড়ে তুলতে পারবেন।


নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর