আজ শনিবার। ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ। ৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি। এখন সময় রাত ১১:২৬

অদম্য মেধাবী কাকলীর পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন ছাত্রলীগের গোলাম রাব্বানী।

অদম্য মেধাবী কাকলীর পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন ছাত্রলীগের গোলাম রাব্বানী।
নিউজ টি শেয়ার করুন..

দ্যাটাইমসঅফবিডি.কম: চলতি বছর এইচএসসিতে শিবচর উপজেলার একমাত্র জিপিএ-৫ প্রাপ্ত অতি দরিদ্র পরিবারের অদম্য মেধাবী কাকলী আক্তারের পাশে দাড়ালেন ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে  ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। এছাড়াও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কাকলীর লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পাশে থাকার ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কাকলীর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পেলে তাকে প্রতিমাসে তিন হাজার করে টাকা দেওয়া হবে । এর পূর্বেও একাধিক মানবিক কাজ করে আলোচনায় আসেন গোলাম রাব্বানী,এছাড়া সারাদেশে তৃণমুল নেতাকর্মীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন ।

এছাড়াও তিনি আরো বলেন, অদম্য মেধাবী কাকলীর উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়তে তাকে সবধরনের সহায়তা করা হবে বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, চলতি বছর এইচএসসির ফলাফলে জেলার শিবচর উপজেলার ৫ টি কলেজের মধ্যে ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী কলেজ ৮৮.৫৯ ভাগ উত্তীর্ণ হয়ে শীর্ষ স্থান দখল করে এবং উপজেলার একমাত্র জিপিএ-৫ অর্জনধারী ওই কলেজের মেধাবী ছাত্রী কাকলী আক্তার। দফায় দফায় পদ্মা নদী ভাঙ্গনে আক্রান্ত কাকলীর নিঃস্ব পরিবারটির বসবাস উপজেলার পাচ্চরে একচালার একটি খুপড়ি ঘরে।

৫ ভাই বোনের সংসারে বাবা হারুন মাদবর দিনমজুর মা তাসলিমা বেগম গৃহিণী। অন্যের জমিতে বাবা হারুনের কামলা (দিনমজুরি) দিয়েই চলে সংসার। ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ায় মনোযোগী কাকলী এসএসসিতে পাচ্চর বালিকা বিদ্যালয় থেকে সংগ্রাম করে জিপিএ-৫ অর্জন করে। পরে প্রধান শিক্ষকের সহায়তায় ভর্তি ফি ছাড়াই ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী কলেজ কর্তৃপক্ষ কাকলীকে পড়ার সুযোগ দেন।

এমনকি বেতনসহ যাবতীয় খরচ বিনামূল্য করে দেয় কর্তৃপক্ষ। যাতায়াতসহ বাকি খরচ চালাতে পাশের বাড়ির শিশুদের প্রাইভেট পড়িয়ে নিজেই চালাতো নিজের খরচ। দিনমজুর বাবা খাবার জোগাতেই হিমশিম খাওয়ায় টাকার অভাবে কলেজের মাত্র ৪টি বই কিনতে পারে কাকলী। অন্যের পুরাতন বই হাওলাদ করে পড়তে হয়েছে তাকে। বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকায় দিনের বেলাকেই বেশি বেছে নিতো পড়ার সময়।

খাতা ফুরিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়তো বেশি লিখতো কম। যাতায়াত ভাড়া না থাকায় অনেকদিন কলেজে যাওয়া বাদ দিতে হয়েছে তাকে। কাকলীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পাচ্চর ২ নং ওয়ার্ডের একচালার এক জরাজীর্ণ টিনের ঘরে ৫ ভাইবোনসহ পরিবারটির বসবাস। প্রতিবন্ধী বাবা বাড়ি নেই ভোরে বের হয়ে গেছে দিনমজুরির কাজে। ভবিষ্যতের কথা জানতে চাইলে মাসহ কাকলী লুকানোর চেষ্টা করে চাপা কান্না। একপর্যায়ে সরল স্বীকারোক্তি অর্থাভাবে প্রস্তুতি তো দূরে থাক এখনো চিন্তাতেই আনেনি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির প্রস্তুতির কথা। মেয়ের এত ভাল ফলাফলের পরেও টাকার অভাবে মিষ্টিও কিনে খেতে পারেনি তারা। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথে দেখা যায় কাকলীর বাবা কাজ শেষে খুড়িয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছে হাতে এক পিচ জিলাপী নিয়ে। মসজিদ থেকে দেয়া ওই জিলাপীটাই বাবা না খেয়ে এনেছে মেয়ের ভাল ফলাফলের জন্য।

গোলাম রাব্বানী তার শুভ কামনা করে বলেন ,তোমার জন্য কিছু করতে পারলে আমার বিদ্যানুরাগী আম্মুর আত্মা কিছুটা হলেও শান্তি পাবে নিশ্চয়।

নিউজ টি শেয়ার করুন..

সর্বশেষ খবর

আরো খবর